Monday, January 20, 2014

চেনা প্রতিবিম্বে অচেনা আমি



চেনা প্রতিবিম্বে অচেনা আমি
ভাবছ কী আত্মবিস্মরণ?
এ তোমার দেয়া অনন্য উপহার।
ভালবাসার অবাধ প্লাবনে
উচ্ছসিত ছিল হৃদভূমি,
তাই প্রেমাগ্নুৎপাতে-
লাভা হয়ে পুড়ছি আমি।
আজন্ম অমাবশ্যার গল্পে
তোমার ছলনা এক চিলতে চাঁদ!
তাই বিশ্বাসী স্রোতস্বীনী সেধেছে
পূর্ণিমার জোয়ারে প্রেমব্রাত।
প্রেমময় আলোর ছটা-
প্রার্থিনু স্নেহের প্রলেপনে,
তাই নিস্তব্ধ রাতের অভিশাপে
বিরহী আঁধার স্বচ্ছ দর্পনে।
তোমার ভালবাসার আশির্বাদে-
সিক্ত আঁখি নেত্রে,
নির্ঘুম অপেক্ষা-
কষ্ট লিখে রাতের সীমান্তে।
বিরহ আশিষে লাল চোখ,
চোখের নিচে কালি!
যারে রেখেছিলে চোখের মণিতে,
কালবৈশাখীতে সেই চোখের বালি!
সকাল সাঁঝ রাতে-
যখন তোমার অপেক্ষায়,
উদগ্রীব হয়ে দাঁড়াতাম প্রতিবিম্বে!
প্রতিবিম্ব আমার ঝলসে যেত,
চঞ্চল সুখানন্দে!
খোপায় আর বেলী নেই,
কাজল কত কাল পড়িনা।
কাঁকনহীন হাত আর-
টিপ ছাড়া কপালে নিজেরে চিনিনা।
প্রর্মূত প্রেমালাপে হৃদয় হেরি-
দিয়েছি মুসাফিরে একমাত্র মন।
তাই লাবণ্যহীনা বনবাসী,
বিরহের নীল বিষে-
ছটফট করছি আমরণ!
শতাব্দী সঞ্চিত প্রণয়রে মোর,
সমাধিত করেছ উচ্চাকাঙ্খিত স্বপ্ন-মোহে।
আশাহীন দু’ আঁখিতে তাই-
নিঃশব্দে কষ্ট সাগর বহে।
বলেছিলে, চঞ্চলা অপরূপা প্রিয়া আমার-
বিশ্ব ছাড়িতে পারি তোমার তরে,
তাই ভালবেসে প্রাণমন দিয়েছি-
হৃদয় উজাড় করে।
নিজেরে আজ চিনিতে নারি,
আমিত্বকে দিয়েছি বলিদান!
তবু সার্থক হতো জীবন-
যদি নিজ হাতে করতে হরণ প্রাণ।

No comments:

Post a Comment