অলকানন্দা কুসুমে আকাশ স্বপ্ন
★★★★★★★★★★★
আকাশের চোখে স্বপ্ন আঁকতে
রংদানি ঢেলে উজার।
বেলাশেষে নীলের প্রতিবিম্বে সাজানো
শুধু শূণ্যতার একরাশ হাহাকার।
অলকানন্দার অলীক স্বপ্নে বিভোর
হাসি দীপান্বিতার মাতমে,
ভালবাসার পাণ্ডলিপি পুড়ছে
দীপে গজে উঠা সন্দেহের
লাল নীল শিখার আর্তনাদে।
রংধনু রঙ্গে সাজবে বলে - বিশ্বাসের বৃষ্টিতে
ধুয়েছে আপন রং যে মুসাফির,
সূর্যাস্ত তারে আত্ম অহমিকায়
আঁধার দেখাতে অস্থির।
শব্দের আর্তিতে মেখেছিলেম প্রজাপতি রং
প্রথম অপরাজিতার বুকে,
ঝরে গেছে সে শব্দের ইতি করে
কষ্টের জ্বালাময়ী শোকে।
আকাশের বুকে পৃথিবী গড়তে
বলি দিয়েছি আত্মসম্মানের দেবী।
মুসাফিরের ঝোলায় তাই আর
হৃদয় -মন নাই,
আছে মহাবিশ্ব -লুঠেরা
এক আকাশের নীল ছবি।
Tuesday, November 4, 2014
Sunday, November 2, 2014
অনাস্বিত সম্পাদ্য
অনাস্বিত সম্পাদ্য
এখনো পূবের জানালা গলে
প্রথম সূর্য্য ছোঁয়া দেয় ঘুমন্ত কপালে।
এখনো রেলিং ছুঁয়ে তোমার স্পর্শ পাই,
চমকে উঠে উদ্ভাসিত মুখে
চোখ রাখি স্মৃতির জানালায়।
এখনো জামে মসজিদের পাশ ঘেষে
সি এন জি গুলোর হর্ণের কোলাহল,
ভিড় উপেক্ষা করে খুঁজে বেড়ায় দু 'চোখ
নেশাতুর চোখে আহ্বান ছল।
এখনো পলওয়েল পার্কের অবাধ্য পবনে
চমকে উঠি, কাঙ্খিত স্পর্শ খুঁজি।
খেয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
মোহভ্রমী ভালবাসার অস্তিত্ব বুঝি।
এখনো শিশু পার্কের সামনে
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে তুমি।
ভ্রমের দৃষ্টিতে পলক ফেলে
নিজেরে চিনি আমি!
এখনো দোয়েল চত্বরের পাশে
সেই ঝুপড়ি মত চায়ের দোকানের পাশে থমকে যাই।
ইচ্ছে করে, ওপাশে বেঞ্চে মাথা নিচু করা
স্মৃতির সুখ আমার ;দেখি তোমায় !
এখনো কলেজের পাশ দিয়ে যাবার সময়,
তোমার দুষ্টু চঞ্চলতা আমায় করে বিচলিত।
অনাস্বিত সম্পাদ্যে দাঁড়িয়ে
দৈবাৎ দেবদারু হয় দুর্বিনীত।
এখনো কলেজ ক্যান্টিনের কোণার টেবিলে
লেগে আছে তোমার রক্তের দাগ,
না! আর ভাবতে পারিনা।
ভালবাসার স্মারকীতে স্বাক্ষরিত উম্মাদ।
চোখ খুলতে পারিনা।
বিশ্বময় স্মৃতির স্পর্শ ;
কষ্টের জলপ্রপাতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
দু 'হাতে চোখ চেপে ধরি।
স্মৃতির শবেদের সময়ের কাফন পরিয়ে,
অনুভূতিদের অন্ধ করার বৃথা চেষ্টা করি।
তোমার হাজার হাজার হাসোজ্জ্বল মুখচ্ছবি
আমার পথরোধ করে দাঁড়ায়।
হাতধরে নিয়ে যায় স্মৃতির কবরে।
নোনাজলে ডুবতে ডুবতে দমবন্ধ হয়ে আসে।
না! এভাবে বাঁচতে পারিনা।
এ কৃষ্ণগহ্বরে জীবনের ঘ্রাণ পাইনা।
আবার এসে দাঁড়াও পূবের জানালায়,
প্রথম সূর্য্যের সাথে।
আবার হাতে হাত রাখো
চলবো রোদেলা পথে।।
এখনো পূবের জানালা গলে
প্রথম সূর্য্য ছোঁয়া দেয় ঘুমন্ত কপালে।
এখনো রেলিং ছুঁয়ে তোমার স্পর্শ পাই,
চমকে উঠে উদ্ভাসিত মুখে
চোখ রাখি স্মৃতির জানালায়।
এখনো জামে মসজিদের পাশ ঘেষে
সি এন জি গুলোর হর্ণের কোলাহল,
ভিড় উপেক্ষা করে খুঁজে বেড়ায় দু 'চোখ
নেশাতুর চোখে আহ্বান ছল।
এখনো পলওয়েল পার্কের অবাধ্য পবনে
চমকে উঠি, কাঙ্খিত স্পর্শ খুঁজি।
খেয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
মোহভ্রমী ভালবাসার অস্তিত্ব বুঝি।
এখনো শিশু পার্কের সামনে
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে তুমি।
ভ্রমের দৃষ্টিতে পলক ফেলে
নিজেরে চিনি আমি!
এখনো দোয়েল চত্বরের পাশে
সেই ঝুপড়ি মত চায়ের দোকানের পাশে থমকে যাই।
ইচ্ছে করে, ওপাশে বেঞ্চে মাথা নিচু করা
স্মৃতির সুখ আমার ;দেখি তোমায় !
এখনো কলেজের পাশ দিয়ে যাবার সময়,
তোমার দুষ্টু চঞ্চলতা আমায় করে বিচলিত।
অনাস্বিত সম্পাদ্যে দাঁড়িয়ে
দৈবাৎ দেবদারু হয় দুর্বিনীত।
এখনো কলেজ ক্যান্টিনের কোণার টেবিলে
লেগে আছে তোমার রক্তের দাগ,
না! আর ভাবতে পারিনা।
ভালবাসার স্মারকীতে স্বাক্ষরিত উম্মাদ।
চোখ খুলতে পারিনা।
বিশ্বময় স্মৃতির স্পর্শ ;
কষ্টের জলপ্রপাতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
দু 'হাতে চোখ চেপে ধরি।
স্মৃতির শবেদের সময়ের কাফন পরিয়ে,
অনুভূতিদের অন্ধ করার বৃথা চেষ্টা করি।
তোমার হাজার হাজার হাসোজ্জ্বল মুখচ্ছবি
আমার পথরোধ করে দাঁড়ায়।
হাতধরে নিয়ে যায় স্মৃতির কবরে।
নোনাজলে ডুবতে ডুবতে দমবন্ধ হয়ে আসে।
না! এভাবে বাঁচতে পারিনা।
এ কৃষ্ণগহ্বরে জীবনের ঘ্রাণ পাইনা।
আবার এসে দাঁড়াও পূবের জানালায়,
প্রথম সূর্য্যের সাথে।
আবার হাতে হাত রাখো
চলবো রোদেলা পথে।।
Thursday, October 30, 2014
তুমি
তুমি
আমার যে অরণ্য গড়েছি
সে শুধু তোমায় নিয়ে,
যে আকাশ রচনা করেছি
তা শুধু ‘তুমি’ নামের শুভ্র মেঘ দিয়ে।
নিঃস্বার্থ যে পৃথিবীর সূচনা করেছি আমি,
সেইতো তোমার চাওয়া নিয়ে।
ভালবাসার যে কবিতা আমার,
সে শুধু তোমার প্রেমেই সৃষ্টি,
স্বপ্নের যে হিমালয় আমার,
তা শুধু তোমার ভালবাসার সুখময় দৃষ্টি।
আমার অরণ্যে হোক তোমার অবাধ বিচরণ,
আর আকাশ জুড়ে থাকুক
তোমার শুভ্রতার আবরণ।
এই আঁখিতে যে সুখ সমুদ্রের
সৃষ্টি করেছি আমি,
সেখানে হারাতে পার শুধুই তুমি।
হৃদয়ের যত কবিতা, ভালবাসা, আকাঙ্খা
সবি শুধুই ‘তুমি’।
Monday, October 27, 2014
হারানো ছেলেমানুষী
হারানো ছেলেমানুষী
কতদিন তোমার গান শুনা হয়নি,
কতদিন মোবাইলের ওপাশ থেকে
আবেগ জড়িত কণ্ঠে -
কবিতায় মন ভরেনি।
মিছে কতো পাগলামী ;
অকারণ ছেলেমানুষী,
কতো যে রাত জাগা ;
অকারণ আনন্দ হাসি।
এখনো নিয়ন বাতিগুলো
রং ছড়ায় কার্নিশে,
এখনো খুনশুটি বাতাসের
এলোচুল ভালবেসে।
কথায় - কথায় রাতেরা বিদ্রোহ করে
প্রভাতের বুকে মুখ গুঁজত,
তবু ব্যাঙ্গমার কথা না ফুরাত।
ব্যাঙ্গমী হিয়া ঝর্ণার কথায়
ছলকে ছলকে চলত।
কতদিন শুনা হয়না টুংটাং
তোমার গীটারে,
কবিতারা মুখ থুবড়ে পরেছে
জীবনের আঁধারে।
তবু স্মৃতি হাতড়ে -
প্রাণের ছোঁয়ায় আজও হাসি,
সম্মোহিতের মতো
আঁধার বলে রাতের কানে -
তোমাতেই শুধু
নিঃস্ব হতে ভালবাসি।
কতদিন তোমার গান শুনা হয়নি,
কতদিন মোবাইলের ওপাশ থেকে
আবেগ জড়িত কণ্ঠে -
কবিতায় মন ভরেনি।
মিছে কতো পাগলামী ;
অকারণ ছেলেমানুষী,
কতো যে রাত জাগা ;
অকারণ আনন্দ হাসি।
এখনো নিয়ন বাতিগুলো
রং ছড়ায় কার্নিশে,
এখনো খুনশুটি বাতাসের
এলোচুল ভালবেসে।
কথায় - কথায় রাতেরা বিদ্রোহ করে
প্রভাতের বুকে মুখ গুঁজত,
তবু ব্যাঙ্গমার কথা না ফুরাত।
ব্যাঙ্গমী হিয়া ঝর্ণার কথায়
ছলকে ছলকে চলত।
কতদিন শুনা হয়না টুংটাং
তোমার গীটারে,
কবিতারা মুখ থুবড়ে পরেছে
জীবনের আঁধারে।
তবু স্মৃতি হাতড়ে -
প্রাণের ছোঁয়ায় আজও হাসি,
সম্মোহিতের মতো
আঁধার বলে রাতের কানে -
তোমাতেই শুধু
নিঃস্ব হতে ভালবাসি।
Tuesday, October 21, 2014
নীলাভ সর্ম্পক
নীলাভ সর্ম্পক
আঁধারের প্রেমে অন্ধ হয়ে
নিস্তব্ধতায় বাঁধি ঘর,
নিয়ন আলো অহমিকায় গড়ে
আত্মার দর্পনে শূন্যতার
কবর।
ভাবনার মেঘগুলোর তবু
শুভ্রতার প্রতিশ্রুতিতে
আকাশময় বিচরন,
স্বার্থের কাঁচির ষড়যন্ত্রে
ছিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের
বন্ধন।
এক পৃথিবী ভালবাসার বিনিময়
কাঁদি,
এক সাগর কষ্ট সলিলে
গড়ে আত্ম সমাধি।
ভালবাসার কফিন টেনে টেনে
ক্লান্ত পদে চৌরাস্তার
বাঁকে।
গগনচুম্বী সন্দেহ,
সর্ম্পকের কবর আঁকে।
সন্দেহের বিষে বিশ্বাসের
সরোবর
অদ্ভুত নীলাভ!
অজানা আর্কষণে সাঁতার কেটে
চলেছি
বিষাক্ত নীলাভ সর্ম্পকে!
ধীরে ধীরে অবশ হয়ে
যাচ্ছে প্রাণশক্তি,
অপেক্ষা শুধু শ্বাসের নীল
সমাপ্তি।
Saturday, October 18, 2014
নব অঙ্গীকার
নব অঙ্গীকার
ধ্বংস করো যতো
অন্ধকারে আছন্ন কাল,
শুনিয়ে দাও নতুনের বারতা!
জ্বালিয়ে দাও তোমার যতো
অতীত,
পুড়ে ছাই করে দাও
যতো কষ্টে মেশা গান।
সুর তোল তোমার বীনায়,
যার ঝংকারে নাচবে হৃদয়!
আগুন জ্বালো
ঝরা পাতার অতীত বেদনায়।
রং দাও ভেজা পাতার-
সবুজ সতেজতার!
আগুনে বলি করো
ঐ ঝোপঝাড়, কুসংস্কার।
দৃষ্টি থেকে দূরে সরাও
যতো ভগ্নস্তুপ!
সূর্য্যতেজে জ্বলে উঠো,
চন্দ্রিমার মায়া নিহত হোক।
দাউদাউ করে উঠো জ্বলে
মনুষত্বের অহংকার নিয়ে,
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
এগিয়ে যাও সব নিশ্চিহ্ন
করে দিয়ে।
ধ্বংস করো আজ,
শতাব্দীর যতো আর্বজনা!
পুড়ে ছাই করে দাও ঐ কুৎসিত ঝোপ
আর মৃত্যুর ঠিকানা।
হার না মানার নব অঙ্গীকার;
আজ হোক তোমার পণ।
উজ্জ্বলতায় ঝলসে দাও
যতো অত্যাচারী মন।
জল করে দাও আজ
অহংকারী কঠিন তুষার।
সাগরের বিশালতায়
খুঁজে পাক নিজের আধার।
এগিয়ে যাও,
আর সময় নেই পিছে ফিরে দাঁড়াবার।
Wednesday, October 15, 2014
ওগো নারী জেগে ওঠো
ওগো নারী জেগে ওঠো
ওগো নারী জেগে ওঠো
হয়েছে সকাল ভাঙ্গো তব নিদ্রা।
আজকে এসেছে সময় মুখ তুলে দাড়াবার
কিসের তবে ভয় আর কিসের ঐ কুসংস্কার!
নিজ গুণে আজ অর্জন করেছ সমতা,
তব জাগো নারী জয় করো সকল অজ্ঞতা।
তোমাকেই ভাঙ্গতে হবে সকল শৃংখল ডোর।
তোমাকেই আনিতে হবে আগামীর সুন্দর ভোর!
ভুলে যাও হিংসা, বিদ্বেষ রাগ আর অভিমান।
তোমাকেই জ্বালাতে হবে চির দ্বীপ অনির্বান।
ওগো নারী জেগে ওঠো
শতাব্দীর জয়ী ঝান্ডা হাতে তুলে ছোটো।
তুমিই যদি না জাগো,
তবে দেশটি তোমার হবে নিদ্রা বিভোর।
তোমাকে জাগতেই হবে,
সকল প্রগতি তো তোমার মনের জোর!
তোমায় জাগাতে,
ডেকে ডেকে ফিরে গেছে জ্ঞানী গুণীজন।
তুমি আজ জেগে ওঠো,
দখল করে নাও তাদের আসন।
রোকেয়া, ফয়জুন্নেছা, সুফিয়া আর লারা
ডেকে ডেকে তোমায়-
জীবন দিয়ে গেছে তারা।
আজ সময় এসেছে মুষ্টি বদ্ধ করো হাত, শপথ নাও!
নিদ্রা নয় আর,
নিজের ব্যক্তিত্বে লুফে নাও ব্যক্তিত্ব তাদের।
নারী জেগে ওঠো
পৃথিবী তোমায় চায়
নিজের
পতাকা উঁচু করে ছোটো।
Subscribe to:
Posts (Atom)