এখনো পূবের জানালা গলে
প্রথম সূর্য্য ছোঁয়া দেয় ঘুমন্ত কপালে।
এখনো রেলিং ছুঁয়ে তোমার স্পর্শ পাই,
চমকে উঠে উদ্ভাসিত মুখে
চোখ রাখি স্মৃতির জানালায়।
এখনো জামে মসজিদের পাশ ঘেষে
সি এন জি গুলোর হর্ণের কোলাহল,
ভিড় উপেক্ষা করে খুঁজে বেড়ায় দু 'চোখ
নেশাতুর চোখে আহ্বান ছল।
এখনো পলওয়েল পার্কের অবাধ্য পবনে
চমকে উঠি, কাঙ্খিত স্পর্শ খুঁজি।
খেয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
মোহভ্রমী ভালবাসার অস্তিত্ব বুঝি।
এখনো শিশু পার্কের সামনে
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে তুমি।
ভ্রমের দৃষ্টিতে পলক ফেলে
নিজেরে চিনি আমি!
এখনো দোয়েল চত্বরের পাশে
সেই ঝুপড়ি মত চায়ের দোকানের পাশে থমকে যাই।
ইচ্ছে করে, ওপাশে বেঞ্চে মাথা নিচু করা
স্মৃতির সুখ আমার ;দেখি তোমায় !
এখনো কলেজের পাশ দিয়ে যাবার সময়,
তোমার দুষ্টু চঞ্চলতা আমায় করে বিচলিত।
অনাস্বিত সম্পাদ্যে দাঁড়িয়ে
দৈবাৎ দেবদারু হয় দুর্বিনীত।
এখনো কলেজ ক্যান্টিনের কোণার টেবিলে
লেগে আছে তোমার রক্তের দাগ,
না! আর ভাবতে পারিনা।
ভালবাসার স্মারকীতে স্বাক্ষরিত উম্মাদ।
চোখ খুলতে পারিনা।
বিশ্বময় স্মৃতির স্পর্শ ;
কষ্টের জলপ্রপাতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
দু 'হাতে চোখ চেপে ধরি।
স্মৃতির শবেদের সময়ের কাফন পরিয়ে,
অনুভূতিদের অন্ধ করার বৃথা চেষ্টা করি।
তোমার হাজার হাজার হাসোজ্জ্বল মুখচ্ছবি
আমার পথরোধ করে দাঁড়ায়।
হাতধরে নিয়ে যায় স্মৃতির কবরে।
নোনাজলে ডুবতে ডুবতে দমবন্ধ হয়ে আসে।
না! এভাবে বাঁচতে পারিনা।
এ কৃষ্ণগহ্বরে জীবনের ঘ্রাণ পাইনা।
আবার এসে দাঁড়াও পূবের জানালায়,
প্রথম সূর্য্যের সাথে।
আবার হাতে হাত রাখো
চলবো রোদেলা পথে।।
No comments:
Post a Comment