আরো একবার
(
জেবুন্নেসা সিমী)
অভিজাত পাড়ার ওয়াইন উৎসবে
গণতন্ত্রের
মৃত্যুচিৎকার।
তোমার
নষ্ট
শহরের
ভাইরাসে
মফস্বলের
গায়ে
লেপ্টে
গেছে
কলঙ্কের
ধুতি।
ফাগুনের
বাউলা
বাতাসে
আজ
পঁচা
রক্তের
গন্ধ!
প্রতারক
প্রেমাবাসের
ঝাড়বাতির
ঝলসানিতে
অনিকেত
বিদির্ণ
সবুজ।
আমি তবু
চিরতরুন সকালের আত্মবিশ্বাসে দাঁড়িয়ে,
প্রতিদিন পতাকায় সালাম দেই।
আমি তবু
সদ্যস্নাত বৌঠানের প্রথম সিঁদুরের মতো
সত্য প্রতিশ্রুতি।
তুমি নিশাচর আততায়ীর
রক্তে লেখো মঞ্চ নাটক।
কালের উপন্যাস ভিজে যায়
রক্তের ছিটায়।
ভবঘুরে বিশ্বাসেরা তোমার
বার্ধক্যের লাঠি ধরে এড়িয়ে
যায় কর্তব্যের চৌকাঠ।
তোমার কলমের পেট ভর্তি ভেজাল কালিতে
আজ মুক্তির বিকৃত গল্প শেষ।
আরেকবার অগ্নিঝরা মার্চে
বুকের রক্তে লিখবো আমার বাংলাদেশ।
শাপলা বেলায়
(
জেবুন্নেসা সিমী)
চলনা বন্ধু শাপলা তোলায়।
যাবে কি বন্ধু মধ্যদুপুরে
পেছনের পঁচা পুকুরটায়?
শাপলা সব আমি নেবো,
কথা দিলাম তোমায়।
ছেড়ে আসবোনা আর
মায়ের সাড়ায়।
যাবে কি কমলদের
পেয়ারা গাছটায়?
তুমি নাহয় গাছে চড়োনা।
শব্দে যদি গার্ডের
ঘুম ভেঙ্গে যায়?
আমি চুপি চুপি
সব পেয়ারা ছিড়ে
শিস দেবো তোমায়।
যদিবা দাড়োয়ান
সেদিনের মত এসে
দাঁড়ায় পেছনটায়।
ব্যাঙ -
লাফ লাফাতে লাফাতে
পালাবো,
নিয়ে তোমায়।
শুনেছি এমরানদের
আম -
গুটিগুলো বেশ বড় হয়েছে।
যাবে কি?
চল!
সবকটা আমায় পেড়ে দিও।
আমি সরষের তেলে ভর্তা
করে
খাওয়াব তোমায়।
আপন বলল,
নয়নদের বরই গাছটায়
এখনও বরই অনেক।
চলনা,
নুন দিয়ে গাছতলায়
সাবাড় করব খানেক।
যাবে কি?
সেবুলদের তেঁতুল গাছটায়!
অত উঁচায় আমি চড়তে
পারবনা।
তাই তো এতো করে
বলি তোমায়!
জাম পাতার বাঁশিটা
বানিয়ে দেব তোমায়।
চলনা বন্ধু শাপলা তোলায়।
যতনে রাখি কলেমার প্রতিশ্রুতি
(
জেবুন্নেসা সিমী)
ঊষার চিরকুট খুলে দেখি
দুর্দান্ত তপনের বাঁচার পূর্বাভাস।
প্রেমগীত
গেয়ে
উঠে
সায়েন্স
মিউজিয়ামের
মৃত
কঙ্কালেরাও।
ভালবাসার
শোকেচে
তুলে
রাখি
প্রতিজ্ঞার
দলিল।
চিরকুমার মধ্যাহ্নের সূর্যে
আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে
নদীর গরম শরীর।
বাতাসের আঙ্গুল বিচলিত
রেখা আঁকে জলধীর বুকে।
তবু নৈঋূত বায়ুপ্রবাহে
নীলিমার শৈল্পিক কষ্ট।
শহরের দূরে স্বপ্নীলা খুঁজে
ফিরে
ঘাসফড়িঙ বিকেল।
অথচ চৈত্রের রুক্ষ পলির মতো
তোমার ঠোঁট
চাতক তৃষ্ণায় খুঁজে বৃষ্টি -
স্পর্শ।
লজ্জাবতী ছুৃঁয়ে
প্রজাপতি শেখে নিঃস্ব হবার
আকুতি।
হ্যালোজেন দৃষ্টিতে চোখ রেখেও
ভালবাসার হাতে যতনে রাখি
কলেমার প্রতিশ্রুতি।
সান্ধ্য আইন ভাঙ্গা জোনাকি
মিছিল
সাজিয়ে দেয় গোধুলীর বাসর।
জোছনায় বোনা কবিতা
জানালার কার্নিশে আঁকে রুপালি মনে
আপন দোসর।
একদিন ফিরে এসো
(
জেবুন্নেসা সিমী)
তোমার চোখে ছিলেম আমি
অপ্সরী,
প্রিয়
মোহিনী।
কি
নেশার
ষড়যন্ত্রে
মন
ছিল
উচাটন
জানেন
অন্তর্যামী।
বললে যেদিন
'
হাসিতে কেমিষ্ট্রি তোমার,
দৃষ্টিতে মেথমেটিকস।
কথায় আবেগের সমাগম,
আত্মস্থ অভিনয়ে
সক্রেটিস।'
সেদিন থেকে
আয়নাকে দোসর করে
স্বপ্নীল রাতের হাতে
তুলে দিয়েছি অপেক্ষা প্রদীপ।
আঁখিতে ছায়াপথ সাজিয়ে
ভাল লাগার আকাশে
হেসে হেসে পড়েছি
চাঁদের টিপ।
আমি সতেরো যুগ ধরে
সতেরোর ঘরে
সম্মোহিতের মত দাঁড়িয়ে আছি।
একদিন সময়ের ঘড়িতে হেঁটে
ফিরে এসো অতীতে।
একটি ছাদের স্বপ্নে
অপেক্ষমাণ পৃথিবী থেকে
আঙ্গুল ধরে নিয়ে যেও
তোমার যেমনতেমন
বর্তমানের পথে।