Friday, December 12, 2014

অলকানন্দা কুসুমে আকাশ স্বপ্ন

অলকানন্দা কুসুমে আকাশ স্বপ্ন
★★★★★★★★★★★

আকাশের চোখে স্বপ্ন আঁকতে
রংদানি ঢেলে উজার।

বেলাশেষে নীলের প্রতিবিম্বে সাজানো
শুধু শূণ্যতার একরাশ হাহাকার।


অলকানন্দার অলীক স্বপ্নে বিভোর 
হাসি দীপান্বিতার মাতমে,
ভালবাসার পাণ্ডলিপি পুড়ছে
দীপে গজে উঠা সন্দেহের
লাল নীল শিখার আর্তনাদে।

রংধনু রঙ্গে সাজবে বলে - বিশ্বাসের বৃষ্টিতে
ধুয়েছে আপন রং যে মুসাফির,
সূর্যাস্ত তারে আত্ম অহমিকায়
আঁধার দেখাতে অস্থির।

শব্দের আর্তিতে মেখেছিলেম প্রজাপতি রং
প্রথম অপরাজিতার বুকে, 
ঝরে গেছে সে শব্দের ইতি করে
কষ্টের জ্বালাময়ী শোকে।

আকাশের বুকে পৃথিবী গড়তে
বলি দিয়েছি আত্মসম্মানের দেবী।
মুসাফিরের ঝোলায় তাই আর
হৃদয় -মন নাই,
আছে মহাবিশ্ব -লুঠেরা
এক আকাশের নীল ছবি।

ভালবাসি তোরে

ভালবাসি তোরে

মাগো তোর ফুলের হাসি, পাখির গানে
নিত্য বাঁচার সুধা নিবো প্রাণে।

একতারাটি মা তোর, রাখিস সযতনে।
বাঁচার কথা শিখিয়ে দিস
মাগো বাউলা মনে।

চাঁদের কথা -তারার কথা
বলিস নিশীথে আমার সনে।
মুছব যত কষ্টের ঘাম,
ধানের মিষ্টি ঘ্রাণে।

নদীর কলতানে -রাখালিয়া সুরে,
সরষের হলুদ ভালবাসায়
এই মনে থাকিস জুড়ে।

ক্লান্ত আমায় মাগো,
তোর মমতার পরশ বুলিয়ে দিস।
রিক্ত আমায়, তোর স্নেহেতে -
সিক্ত করে নিস।

স্রোতস্বিনীর গানে মাগো
জুড়িয়ে দিস প্রাণ,
প্রভাত বাণী নিয়ে মাগো
ভুলব সাঁঝের টান।

মাগো কুসন্তান আর রাখিসনা
তোর বুক জুড়ে,
তোরে অক্ষত রাখতে, এমন ভাতৃত্ব
ফেলে দিব ছুড়ে।

সোনালী সূর্য্যে তুই প্রতি সকাল
হৃদয় দিয়ে হাসবি।
জয়ী ঝাণ্ডা আমাদের হাতে দিয়ে
উন্নতিতে ভাসবি।

মাগো বলনা ওদের ;
কালো ধোঁয়া বন্ধ করে দিতে।
এতো নির্মমতায় পারবি না তুই
সুস্থ শ্বাস নিতে।

মাগো তোর আঁচলে
কলঙ্ক আর লিখতে মোরা দিবনা।
সবুজে শ্যামলে বাঁচবি মাগো
ভুলে সকল যন্ত্রণা।

মাগো ভালবাসি তোরে,
ভালবাসি অনেক বেশি।
তোর ধ্বনিতেই বলতে জানি,
তোর হাসিতেই হাসি।

অনুভবে রোদেলা আলাপন

** অনুভবে রোদেলা আলাপন**
★★★★★★★★★★★★★

অজানা কথায় বিমোহিত
হিরন্ময় নরম দুপুর,

ক্যাকটাসেরা ফুলে ফুলে
লুকায় কাঁটা কলঙ্ক,
চিরবর্তমানের যৌবন
ছুঁয়ে যায় চঞ্চলার হৃদয়,
নরম গ্রাফাইটে
এঁকে যাই স্বপ্নীল ক্ষণ।


চোখ তার জোছনার নেশায়
মায়াময় পদ্ম,
দৃষ্টির অনলে ঝলসে দিয়ে বিশ্ব
প্রেমে লিখে নির্ভরতার অদৃষ্ট।

টি -শার্টের আধার থেকে
বুকের পাজর মুক্ত করে পবন,
প্রতিশ্রুতিতে বাড়ানো বাহু
শেখায় প্রিয় রোদেলা আলাপন।

অনুভবে -
স্বপ্নেরা অষ্টাদশী হয়ে উঠে,
হৃদয়ে অচেনা প্রেমের ছোঁয়ায়
বেহেস্তী কুসুম মুচকি হাসে।

পাজরে কান পেতে শুনি
অস্থির বীণা,
চাঁদের আকুল চিঠি
মখমলি জোছনার খামে,
রেললাইনের শেষে
আলোর মিছিলে বিমুগ্ধ জোনাকি।

সুরমাঙ্কিত পথে সুখধুলিতে
নেশাগ্রস্ত চরণ,
দ্বিধাগ্রস্ত চাওয়া পলকে
ব্যভিচারী হয়ে উঠে,
ঘোমটা টানে
লাজুক চোখে সরলা,
গভীর মায়ায় প্রদীপে
সুখ লিখে পতঙ্গ।

রৌদ্র লিখে জয়
অভেদ্য কুয়াশায়,
আঙ্গুলের সখ্যতা রচে
প্রেমের পাণ্ডুলিপি,
অস্থির বাসনার দৃষ্টিতে
চাতকী উপন্যাস লিখে
নৈঃশব্দের চোখে।

বারুদের ভুলের লাগাম
টেনে ধরে স্নিগ্ধ স্পর্শ দেয় গোলাপ,
রেখার প্রতিভাসে আলোড়িত বিকেল
আঁকে নিষ্পাপ প্রেমময় প্রলাপ।

মন চাঁদোয়া

মন চাঁদোয়া 
////////////////////

আজ চাঁদের সাথে
হবে মন বিনিময়,

আজ জোছনার 
সাথে হবে প্রেম ;
কাব্যসুখে রাত্রিময়।


কে আছে
আমার মতো যাযাবর?
আয়না তারার মিছিলে!
ভেঙ্গে আয়
কষ্টের শিলাস্তর।

আজ জোছনার জলে
মন ভেজাবো,
আজ কৈশোরে হেঁটে হেঁটে
উচ্ছলতার সিঁড়িতে
সুখেদের ছুঁয়ে দেবো।

আজ ইমারত ছেড়ে ;
শহরের দূরে
তটিনীর সাথে চলবো,
আজ দীঘির জলে ;
চাঁদোয়ার ছলে
আপন স্রোতে বইবো।

আজ তারার ফুলে
সাজাবো শর্বরীর কবরী,
আজ সপ্তর্ষির প্রশ্নে
স্বপ্নীল উত্তরেরা
দেবে আকাশ পাড়ি।

কে ভাঙ্গবি আজ
নিয়মের ঘর!
আয় নির্ঝরিণীরে ছন্দ দেবো,
আয়না যুথিকার স্নিগ্ধতায়
সাজাবো স্বপ্নচর!

আজ প্রজাপতি মনে
রং ছড়াবে ;
রজনীগন্ধা রেণু,
আজ মখমলি প্রাণে
সুর ছড়াবে ;
ইন্দ্রদেবের বেণু।

(4/12/14- 2am)

নবীন আলো

নবীন আলো
///////////////////////////
মায়ের আঁচল মানদণ্ডে ঝুলিয়ে
পরিচয় পত্র প্রদর্শন শেষে,

ফিরে গেছে সবাই।
নোংরাস্তুপে ভাতের পলিথিন পেয়ে পুতুলী
চিলের মত ছোঁ মেরে নেয়।
মরা কাকের উপর, নুড়ির উপর ফেরার দৌড়!
ওয়াইনের গ্লাসে উপচে পড়ছে বীরের অশ্রু।
বীরের রক্ত বারের রঙ্গিন আলোয় ঝলসে গিয়ে
বিবর্ণ পড়ে থাকে ঝুটা গ্লাসে।
মধ্যবিত্ত ঘরের কোনো টিভি চ্যানেলে
বেজে উঠে রণসংগীত।
আবছা আলোয় গলির মুখে
সন্ত্রাসীর গুলির শব্দ,
আর্তনাদে বলে মায়ের কলঙ্ক -কথা।
বিত্তের শরীরে মূল্যবান দলিল লিখে
অমূল্য বদ্ধভূমির দালানেরা।
রাজনীতির কাঁটাতারে
মনুষত্বের হাত কেটে রক্তাক্ত জনপদ।
মায়ের শরীরে রক্তপঁচা দুর্গন্ধে
মাছিদের উল্লাস।
আজন্ম ক্ষুধায় শকুনের মত
ঠুকরে যায় পুতুলীরা।
ক্যানসারের মতন সারা দেহে
ছেঁয়ে গেছে মায়ের ক্ষতের পঁচন।
অবশ মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে
কিছু নির্বোধ শিশু গেয়ে উঠে,
' আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি।'
শ্যামল চোখে অশ্রু গড়িয়ে
পতাকাদন্ড ধরে মা উঠে দাঁড়ায়।
আর্তি বলে, 'মানুষ হও,আমায় বাঁচাও,
তোমাদের শপথ চাক্ষুষেই বেঁচে আছি

Thursday, December 11, 2014

রবি স্বপন

রবি স্বপন


সখি, আমার লাবণ্যকে দেখেছো?
তোমার সরলতায় গড়েছিলেম যারে?
সখি, আমার মানসীকে পড়েছো?

কী বলো কবি?
কীভাবে শতবর্ষ আগে
আঁকলে আমার ছবি?

তুমি কী ভুলেছো সখি, 
ইছামতির দিন?
তুমি কী দেখোনি সখি,
কেমন দুর্দান্ত রবি ক্লান্তিহীন?

কবি স্বপনেই যদি এলে,
একটা গান রচে যাও
প্রিয়ের পেমানলে।

পৃথিবী যাই বলুক,
তোমার তরে রচেছি পিয়ে হিয়ার কথা।
যুগে যুগে তুমি প্রিয়া
মুছবে প্রিয়ের মর্মব্যথা।

যুগে যুগে সখী তুমি চঞ্চলা -সরলা,
মোহিনীরূপে সখীরে
কাব্যে রাখি দিনমান প্রাঞ্জলা।

মায়াময় কনকদর্পনে বিম্ববতীর কথা
রচেছি রূপকে তোমার।
সুবর্ণ মুকুরে করেছি
 শুভদৃষ্টি প্রেমী আশার।

তবে কী সেদিন কবি
আমার রাঙ্গামাটিরেও জানতে?
আজ দ্বিধা নেই তোমার প্রথম বনফুল
সার্থক বলে মানতে!

স্বপন শেষে তো চলে যাবে কবি! 
যেটুকু প্রিয়ালাপ, বর্তমানের জোয়ারে
মুছে যাবে সবি।

সখি ভাবো কেনো! 
আমি যে তোমার হিয়ায়!
 যতই লিখবে,
 মোহিত হবে রবি প্রেমের মায়ায়।