বকুল কুঁড়ি
বকুলের সমস্ত শরীর জুড়ে রক্তাক্ত ক্ষত!
পুরোটা মন জুড়ে ঘৃণা আর ঘৃণা!
তবু বকুল বাঁচতে চায়।
চুলের মঠি ধরে বলে
"টাকা দে হারামজাদি "।
"মদের টাকা তুই দিবি,
নয় তোর বাপ "।
বকুলের বেঁচে থাকাই
প্রতিরাতের অভিশাপ।
লাথি দিয়ে বুকের পাজরে বলেই চলে
"টাকা দে হারামজাদি "।
ক্ষত বুকে বাঁচার টানে -
এলোমেলো পদে উঠে দাঁড়াতে যায়,
মুখপানে চায় -
দৃষ্টিতে করুণা পায় যদি!
করুণার নিকুচিতে রক্তচক্ষু
বকুলের প্রাণ চায়,
আঁচল খুলে বকুল শেষ সম্বল
দিয়ে বেঁচে যায়।
তবু মাতৃত্বের টানে -
বকুল বাঁচতে চায়!
আট মাসের শিশুটি
চোখ পিটপিট করে,
আশার বাণী দিয়ে যায়।
ফিরে আসে রাতের কাহিনী নিয়ে
আঁধারের চৌবাচ্চা!
হায়েনাটি বকুলের টুটি চেপে বলে -
"যা আছে বের কর হারামীর বাচ্চা "।
নাকের ফুল খুলে দিয়ে
বকুল এ যাত্রায় বেঁচে যায়
শরীর নিংড়ানো শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও
শিশুটিকে বাঁচাতে চায়!
হায়েনাটি ফিরে আসে বার বার
"টাকা না দিলে তোর কলিজাকে মারবো আছাড় "!
নিঃস্ব বকুল ভয়ে শিশুটিকে
বুকে চেপে ধরে আবার!
মদের নেশায় পাগল হায়েনার
ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয় বকুল।
তবু আঁচলে লুকিয়ে রাখে -
হায়েনার দেয়া ফুল।
অবশেষে হায়েনাটি ফিরে যায়।
বকুল জীবনের পথ খুঁজতে -
শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হায়েনাদের পৃথিবীতে -
বকুলের এই কুঁড়ির,
কে দেবে বাঁচার অধিকার?
লক্ষ কোটি বকুল যে -
এই হায়েনাদেরই শিকার।।
No comments:
Post a Comment