নীরা এখন নারী
আকাশ ভরা হাজার তারা
তবু নীরা নিঃসঙ্গ।
পৃথিবী জুড়ে কোটি মানুষ
তবু নীরা একা।
নীরা নিঃসঙ্গতা ভয় পায়
তবুও একাকীত্বে হারিয়ে যায়।
নীরার আকুুল ইচ্ছে -
তারাদের সাথে মিলে যায়।
নীরার আপন স্বপ্ন -
সবুজ দেশে হেসে খেলে দিন ফুরায়।
সবুজ দেশের সবুজ স্বপ্নাবিষ্ট স্বপনে,
রাজকুমার কথা দেয় শুভলগ্নে।
সবুজ সবুজ কথার মিছে ছলনায়,
রাজকুমার দখল দিলো নীরার আঙ্গিনায়।
নীরা হলো রাণী
চাওয়া আর না চাওয়ায়।
প্রকৃতির যে সাধন
কে রুখিবে হায়!
তার সুখেতে ফাগুন হাসে
সাথে পলাশ শিমুল।
বিশ্বজোড়া সুখের বাতাস
বইতে বইতে ব্যাকুল।
জড়োয়ার গহনা আর
দামি শাড়ীর ভাঁজে,
মনেরে কী যায় বাঁধা
রণক্ষেত্র মাঝে?
চারদিকে আলোর আনন্দ আর জৌলুস!
নীরার চোখে স্বাধীনতার আফসোস।
শাড়ী আর গহনায় যখন
আপন পৃথিবী ভরপুর,
ষোড়শীর মনটি তখন
দিগন্তে হারাতে অস্থির।
বিশ্ব হাসে, মেঘেরা বৃষ্টি সেজে নেমে আসে।
নীরা চায় -
বকুল তলায় বৃষ্টির ছন্দে নাচতে!
আনন্দের বান ডাকে, আকুলতায় সমুদ্র হাসে।
নীরা চায় -
গহনার শৃঙ্খল খুলে নির্মল হতে!
আকাঙ্খিত সবুজকে নীরা পথের বাঁকে ছেড়ে আসে।
একটি স্বপ্ন গুড়ো করে, সকলের স্বপ্নে হাসে।
এই অপারগতা নীরার -
নীরা যে হয়েছে রাণী!
কঠিন যে পাহাড়সম সত্য -
নীরা যে এখন নারী!
ভালবাসার পায়েল হয়েছে আমৃত্যু শৃঙ্খল,
ফুলে ফুলে নয় -
দায়িত্বে ভরেছে নীরার আঁচল।।
Saturday, May 31, 2014
Friday, May 30, 2014
বকুল কুঁড়ি
বকুল কুঁড়ি
বকুলের সমস্ত শরীর জুড়ে রক্তাক্ত ক্ষত!
পুরোটা মন জুড়ে ঘৃণা আর ঘৃণা!
তবু বকুল বাঁচতে চায়।
চুলের মঠি ধরে বলে
"টাকা দে হারামজাদি "।
"মদের টাকা তুই দিবি,
নয় তোর বাপ "।
বকুলের বেঁচে থাকাই
প্রতিরাতের অভিশাপ।
লাথি দিয়ে বুকের পাজরে বলেই চলে
"টাকা দে হারামজাদি "।
ক্ষত বুকে বাঁচার টানে -
এলোমেলো পদে উঠে দাঁড়াতে যায়,
মুখপানে চায় -
দৃষ্টিতে করুণা পায় যদি!
করুণার নিকুচিতে রক্তচক্ষু
বকুলের প্রাণ চায়,
আঁচল খুলে বকুল শেষ সম্বল
দিয়ে বেঁচে যায়।
তবু মাতৃত্বের টানে -
বকুল বাঁচতে চায়!
আট মাসের শিশুটি
চোখ পিটপিট করে,
আশার বাণী দিয়ে যায়।
ফিরে আসে রাতের কাহিনী নিয়ে
আঁধারের চৌবাচ্চা!
হায়েনাটি বকুলের টুটি চেপে বলে -
"যা আছে বের কর হারামীর বাচ্চা "।
নাকের ফুল খুলে দিয়ে
বকুল এ যাত্রায় বেঁচে যায়
শরীর নিংড়ানো শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও
শিশুটিকে বাঁচাতে চায়!
হায়েনাটি ফিরে আসে বার বার
"টাকা না দিলে তোর কলিজাকে মারবো আছাড় "!
নিঃস্ব বকুল ভয়ে শিশুটিকে
বুকে চেপে ধরে আবার!
মদের নেশায় পাগল হায়েনার
ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয় বকুল।
তবু আঁচলে লুকিয়ে রাখে -
হায়েনার দেয়া ফুল।
অবশেষে হায়েনাটি ফিরে যায়।
বকুল জীবনের পথ খুঁজতে -
শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হায়েনাদের পৃথিবীতে -
বকুলের এই কুঁড়ির,
কে দেবে বাঁচার অধিকার?
লক্ষ কোটি বকুল যে -
এই হায়েনাদেরই শিকার।।
বকুলের সমস্ত শরীর জুড়ে রক্তাক্ত ক্ষত!
পুরোটা মন জুড়ে ঘৃণা আর ঘৃণা!
তবু বকুল বাঁচতে চায়।
চুলের মঠি ধরে বলে
"টাকা দে হারামজাদি "।
"মদের টাকা তুই দিবি,
নয় তোর বাপ "।
বকুলের বেঁচে থাকাই
প্রতিরাতের অভিশাপ।
লাথি দিয়ে বুকের পাজরে বলেই চলে
"টাকা দে হারামজাদি "।
ক্ষত বুকে বাঁচার টানে -
এলোমেলো পদে উঠে দাঁড়াতে যায়,
মুখপানে চায় -
দৃষ্টিতে করুণা পায় যদি!
করুণার নিকুচিতে রক্তচক্ষু
বকুলের প্রাণ চায়,
আঁচল খুলে বকুল শেষ সম্বল
দিয়ে বেঁচে যায়।
তবু মাতৃত্বের টানে -
বকুল বাঁচতে চায়!
আট মাসের শিশুটি
চোখ পিটপিট করে,
আশার বাণী দিয়ে যায়।
ফিরে আসে রাতের কাহিনী নিয়ে
আঁধারের চৌবাচ্চা!
হায়েনাটি বকুলের টুটি চেপে বলে -
"যা আছে বের কর হারামীর বাচ্চা "।
নাকের ফুল খুলে দিয়ে
বকুল এ যাত্রায় বেঁচে যায়
শরীর নিংড়ানো শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও
শিশুটিকে বাঁচাতে চায়!
হায়েনাটি ফিরে আসে বার বার
"টাকা না দিলে তোর কলিজাকে মারবো আছাড় "!
নিঃস্ব বকুল ভয়ে শিশুটিকে
বুকে চেপে ধরে আবার!
মদের নেশায় পাগল হায়েনার
ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয় বকুল।
তবু আঁচলে লুকিয়ে রাখে -
হায়েনার দেয়া ফুল।
অবশেষে হায়েনাটি ফিরে যায়।
বকুল জীবনের পথ খুঁজতে -
শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হায়েনাদের পৃথিবীতে -
বকুলের এই কুঁড়ির,
কে দেবে বাঁচার অধিকার?
লক্ষ কোটি বকুল যে -
এই হায়েনাদেরই শিকার।।
Monday, May 26, 2014
সন্ধি চায় মন
সন্ধি চায় মন
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
চাঁদ চকোরীর অভিসারে
হেম কদম্বের মিষ্টি মায়ায়,
সন্ধি চায় মন ভালবাসায়।
অসময়ি বসন্ত বাতাস
গ্রীষ্মের সন্ধ্যাপ্রাতে,
নেশাময় প্রলাপ আনে
শ্রাবণ ধারাতে।
রাতের চোখে -
কবরী এলিয়ে শুনে জোছনা,
কাছে কোথাও -
দুর্দান্ত প্রেম সমুদ্রের আনাগোনা।
প্রেমাঙ্গনে সদ্য প্রস্ফুটিত কদমফুল
মুহু মুহু ঘ্রাণে লিখে শিহরণ ব্যাকুল!
নেশাতুর মন -
লজ্জাবতীর লতায় লাজ লুকায়,
কুমুদিনী -
রাত্রি রচনা করে শিশির প্রতিক্ষায়।
কৃষ্ণচূড়ার আগুনে
অনুরাগী প্রেম বনে বনে,
রক্তিমতায় -
চঞ্চল ছোঁয়া দেয় প্রাণে।
চঞ্চল পবন নিমেষে শব্দ হারায়,
উচ্ছলা মেঘের উদ্যামতায়!
বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ মুখে
অপূর্ব স্ফুলিঙ্গে বিদ্যুৎ চমকায়!
পাজরের হাড় মাংস -
নিবিড় কম্পন তুলে
সাইক্লোনের ধ্বংসলীলায়!
বিমোহিত চাঁদ -
শাওনে মুখ লুকায়!
প্রকৃতির দুরন্ত লীলায়,
সন্ধি চায় মন ভালবাসায়!!
Sunday, May 11, 2014
প্রিয়ক্ষণ
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আবেগী চন্দ্রিমার রোমাঞ্চিত রূপালী স্নানে,
মায়াবী পৃথিবীর লাবণ্য বর্ষণ -
স্বর্গপ্রেম সাধনে!
কৃষ্ণচূড়ার লালিমায় আজ
হোক না শুধু ভালবাসা!
মায়াবী জোছনা চায় -
স্নিগ্ধ ঘনিষ্ঠতায় কাছে আসা!
মূহুর্তেরা আবেগের জলপ্রপাতে
ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
মহুয়া মাতাল রাত -
তোমার চোখের তারায়!
দু 'টি অবুঝ হৃদয় একাকার
প্রেম প্রার্থনায়!
ভুল কিছু তুমি কর, কিছু আমি!
উচ্ছলতায় হোক না আজ -
প্রেমে মাতলামি!
ছুয়ে দিলে যখন আমায়,
হৃদয়েও স্পর্শ দিয়ে যাও।
প্রেমাদ্র প্রলোভনে পুলকিত শিহরণে,
দ্বিধা যত মুছে দাও।
লাজের আবীরে আমি
পলাশ রাঙা লালিমায়,
মুগ্ধ নয়নে তুমি অপলক দৃষ্টিতে
রাঙা আভায়!
মন হোক না মাতাল
আজ প্রেম সুধায়!
স্বর্গ মর্তে তোমাতে গড়ি
অসীম চাওয়ায়!
রাতের আদরে মোহাবিষ্ট আকাশ,
তারার চাদরে সাজায় প্রেমাভিলাশ।
মেঘের কানে কানে বলে চাঁদ -
গোপন আকুলতা,
পবনে মিতালি পাতে মেঘ,
জানতে আকাশ অসীমতা!
মোহময় আকাশ -
সীমান্তে ছুটে মধুময় মিলনে,
তারারা বুক চিড়ে আলো জ্বালে
পথের পরে বিমুগ্ধ ছলনে।
পায়েল বলে, সময়চরণ -
অনন্তকাল বেঁধে রাখি,
বেলী চায় সুরভিত ক্ষণে -
সম্মোহনী কাব্য লিখুক আঁখি!
অবাধ্য নিঃশ্বাসেরা তোমার নিঃশ্বাসে,
অনুভবের গল্প বলে যায়,
বিশ্বাস আমায় প্রশ্ন করে -
কেনো বাহুডোরে বাঁধিনি তোমায়?
বাতাসের চুমুতে যখন -
যখন চঞ্চল আঁখি মন,
হৃদয় নদে ভাসালে প্রেম -নাও,
রচিতে ভালবাসার প্রিয়ক্ষণ!!
Tuesday, May 6, 2014
পরশ পাথর
পরশ পাথর
ডায়রির পাতার ভাঁজে -
এখনো প্রিয় গোলাপের পাপড়িরা
অক্ষত স্মৃতির সুরে গান লিখে।
মরা নদীর বিরহী রেখা
আজও সবুজ চরের চোখে পৃথিবী দেখে।
কুমুদির বুকে প্রতিক্ষিত শিশির স্বপ্ন!
নিকষ মেঘেরা আকাশের কানে বলে
পূর্ণিমার শ্রাবন লগ্ন!
প্রিয় সেই চোখে ভালবাসি ' শব্দের সূচনা!
আজও এঁকে যায়, প্রিয় শব্দ আলপনা!
গাঙশালিকের কথনে সেই রোদেলা আনমনা!
অশ্রুপানেও মেটেনা তৃষ্ণা
প্রিয় প্রতিক্ষার,
নতুন স্বপ্ন গড়ে -
ভাঙ্গা স্বপ্নোপারদেরা আমার!
স্মৃতির পাতার প্রিয় রামধনুক্ষণ
রক্তিম গোধুলী বেলা।
বৃষ্টি মোহিত প্রভা -
আকাশে ভাসায় রঙিন মেঘের ভেলা!
তোমার সেই নেশাময় চোখের তারায়
নির্মল আমিত্ব,
আর কৃষ্ণচূড়াদল মোহময়ী
ঝরার গল্পে শ্রাবণ তৃষ্ণার্ত!
ডায়েরীর কাল লিখাগুলি যেন পরশ পাথর!
ছুয়ে দিলে বেঁচে উঠি বার বার!
সুখ স্মৃতিরা বাঁধে স্বপ্নঘর!
ষড়যন্ত্র যেন স্বকীয়তা হারাবার!
ভালবেসেছিলে তাই ভালবেসে যাই,
দিবানিশি বিভোর, স্মৃতিগাঁথা রচনায়।
তোমারে দেখি স্বপনে শয়নে
তোমাতেই বাঁচি চলমান মৃত্যুতে!
তোমাতেই অতীত, বর্তমান,
তোমারেই পেতে চাই সকল জান্নাতে!
- '
ডায়রির পাতার ভাঁজে -
এখনো প্রিয় গোলাপের পাপড়িরা
অক্ষত স্মৃতির সুরে গান লিখে।
মরা নদীর বিরহী রেখা
আজও সবুজ চরের চোখে পৃথিবী দেখে।
কুমুদির বুকে প্রতিক্ষিত শিশির স্বপ্ন!
নিকষ মেঘেরা আকাশের কানে বলে
পূর্ণিমার শ্রাবন লগ্ন!
প্রিয় সেই চোখে ভালবাসি ' শব্দের সূচনা!
আজও এঁকে যায়, প্রিয় শব্দ আলপনা!
গাঙশালিকের কথনে সেই রোদেলা আনমনা!
অশ্রুপানেও মেটেনা তৃষ্ণা
প্রিয় প্রতিক্ষার,
নতুন স্বপ্ন গড়ে -
ভাঙ্গা স্বপ্নোপারদেরা আমার!
স্মৃতির পাতার প্রিয় রামধনুক্ষণ
রক্তিম গোধুলী বেলা।
বৃষ্টি মোহিত প্রভা -
আকাশে ভাসায় রঙিন মেঘের ভেলা!
তোমার সেই নেশাময় চোখের তারায়
নির্মল আমিত্ব,
আর কৃষ্ণচূড়াদল মোহময়ী
ঝরার গল্পে শ্রাবণ তৃষ্ণার্ত!
ডায়েরীর কাল লিখাগুলি যেন পরশ পাথর!
ছুয়ে দিলে বেঁচে উঠি বার বার!
সুখ স্মৃতিরা বাঁধে স্বপ্নঘর!
ষড়যন্ত্র যেন স্বকীয়তা হারাবার!
ভালবেসেছিলে তাই ভালবেসে যাই,
দিবানিশি বিভোর, স্মৃতিগাঁথা রচনায়।
তোমারে দেখি স্বপনে শয়নে
তোমাতেই বাঁচি চলমান মৃত্যুতে!
তোমাতেই অতীত, বর্তমান,
তোমারেই পেতে চাই সকল জান্নাতে!
Subscribe to:
Posts (Atom)