Tuesday, April 21, 2015

বিবস্ত্র লজ্জা



বিবস্ত্র লজ্জা
//////////////////////////////
(জেবুন্নেসা সিমী)
টি এস সি মোড়ের বিবস্ত্র লজ্জা
সভ্যতার গলা চিপে
বের করে আনে শকুনের গায়ে
মানুষের খোলস
লজ্জিত মনুষত্ব থরথর করে কাঁপতে থাকে
কলমের রক্তক্ষরণে।
মানবতার আর্তনাদে দুন্দুভি বাজায়
কাপুরুষের কাতার
চিল -শকুন, বাজের আধিপত্যে
দামামার তাল মঞ্চস্থ।
আর কামান হাকিয়ে কাক মেরে যায়
ব্রান্ডের সংবাদ
শহীদের সাদা কাফনে কালি লাগায়
অমানুষী কাল।
কালজয়ী আত্মারা বুক থাপড়ে
সোনার বাংলা আর্তনাদ করে
কামুক পিশাচ ধর্ষিত মায়ের
বুক চিড়ে জয়ী তিলক পড়ে।
ষড়যন্ত্রের মানচিত্র ধ্বংস করে
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব

পা থেমে গেল



পা থেমে গেল

তোমার বাড়ির সামনে
পা থেমে গেল
এখানে কোথাও
বেপোরোয়া ঘূর্ণিতে বিশ্বাসেরা
কসমের ঋণে বন্দী
সেই হলুদ ফতুয়া সামনে দাঁড়াতেই
ভুলে যাই আমি মৃত
নাকে এসে লাগল
ব্ল্যাক সিগারেটের লং -ঘ্রাণ
হ্যাঁ, নিশ্চিত তুমিই তো
ছুঁয়ে দিতেই বদলে যায় দৃশ্যপট
একাকীত্বের কান্না দেখে
ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসে
তোমার স্বপ্নের স্টুডিও
বিকট চিৎকারে হাতে সেটটি
চেঁচিয়ে উঠে
অদ্ভুত!
পরিচিত সংখ্যাটি নির্জনতা ভেঙ্গে এসে
নিস্তব্ধ করে দেয় স্নায়ুদের
ওপাশে পরিছন্ন কণ্ঠে -
'
তুমি কোথায় '?
পরিচিত গন্ধে কেন কাতরাচ্ছে মন ব্যাথায়
ইচ্ছে করছে, চিৎকার করে বলি -
সেই যে পুতুল পুতুল সিঁদুর নিয়ে
এখনো তোমার চৌরাস্তায়
তোমার স্বপ্নেরা মুখ চেপে ধরে,
চুপচাপ সত্য গিলে, সংযোগ কেটে
আঁধারে পা বাড়াই

Thursday, January 15, 2015

নিঃশেষ ছায়া



নিঃশেষ ছায়া
**************
ঈমাণের প্রদীপে আত্মবিশ্বাসের শোলতে জ্বেলে
সারারাত উদীয়মান সূর্য্যের প্রহর গোণা।
বাতায়নে রাতের কান্না - পেঁচার চিৎকারে
ভালবাসার পর্দা টানা
অন্ধের যষ্টিতে একান্ত গর্বে
ভুলে দুর্বোধ্য নিয়তির অভিধান।
অমূলক ভাবনায় ; মা হারা সন্তানের
আর্তনাদে বদলাবে বিধান!
আরশ কাঁপেনা অসহায় সন্তানের
হৃদয় ভাঙ্গার কম্পনে।
শোকাহত অগ্নুৎপাত বদলায়না
কৃষ্ণগহ্বরের আঁধার, রাত্রিময় জীবনে।
শিশুর মতো নির্মল মুখখানা ছুঁয়ে
দু 'হাতে খুঁজি দুর্লভ প্রশ্বাস,
ভালবাসার জানাযায় বেহেশতি মুসাফির ;
অভিমানী -অহংকারী হাসি ঠোঁটের কোণে
নিয়মের অজুহাতে ভালবাসাহীন পৃথ্বী
প্রশান্ত ছবিখানা ঢেকে দেয়।
বাঁধন ছিড়ে, পবিত্র চতুরঙ্গে হাতছানিতে
অতীতের দেশে প্রিয়জন চলে যায়।
স্মৃতিরা লিখে শিয়রী প্রদীপে অবিশ্বাস।
নিঃশেষ ছায়া, মরুর দুনিয়ায়
রেখে যায় আক্ষেপী দীর্ঘশ্বাস
হাঁটু মুড়ে আত্মবিশ্বাস নিয়তির পথে নুয়ে পড়ে।
মূহুর্তে অচেনা আশর ;
টেনে হিঁচড়ে দাঁড় করে দেয় এতিমের কাতারে

কলমের মৃত্যু

কলমের মৃত্যু
#################

নীলকণ্ঠির ডানা ঝাপটানো
নিঃশ্বাসে গগনময় বিষাক্ত নীল,
রাত্রির চাঁদর গায়ে দিন চলে
কষ্টের অলিগলি বেয়ে।
সময়ের বাজারে
চড়া দামে সুখের প্যাকেট,
খালি হাতে যাযাবর নতুন গন্তব্যে।

পানসে কষ্টগুলো
নেশা ধরায়না আফিমের মতো।
কলিজা পঁচা দুর্গন্ধে
অক্সিজেন পৌঁছেনা ফুসফুসে।

নীলের কবরে
কালো শোকে বাগানময় নির্জনতা।
মরচে ধরা কলম পরে থাকে
চোখের বৃষ্টিতে ঝাপসা ডায়রীর উপর।

কষ্টের হৈ হুল্লোড়ে
কলমের তাল নেই বুলেটের মতো।
অসময়ী বার্ধক্য
গ্রাস করে কালির গতি।

মুখোশী মায়ায়
মাকড়শা জড়িয়ে নেয় কলমের দেহ।
কাকের কৌতুহলে
বিধ্বস্ত ডায়রীর মায়া ছেড়ে যায় কলম।

কাকের ঠোঁটে
মরিয়া হয়ে উঠে মরচে খোলস।
শহরের আবর্জনাস্তুপ
বুকে টেনে নেয় কালের ধ্বংসাবশেষ।