Wednesday, April 9, 2014

তবুও বিজয়ী!

তবুও বিজয়ী!
মাথাটা ভীষণ ফাকাঁ|
কী একটা ভূল!
শূণ্যতা আর শূণ্যতা!
অন্ধকার গ্রাস করছে আমায়!
অচেনা আনন্দ-
ছোয়াঁর আশায় উম্মুক্ত দ্বারে,
বিজয়ী কষ্টেরা দাড়িয়ে|
চারদিক নিস্তব্ধ!
শুধু কষ্টের উল্লাস!
দূরে - বহুদূরে রাজপথ|
সিকিভাগ এসেছি মাত্র!
হাতে ধরা হাত
কখন যে ছেড়েছি,
কখন যে-
একা চলতে শিখেছি!
নিঃসঙ্গ কষ্টের পাহাড়ায়,
চলেছি স্মৃতি রোমন্থনে!
মুসাফির চলেছি,
অন্তহীন যাত্রায়!
পিছুটানেরা-
বাধঁতে পারেনা,
রঙ্গনিপুন পৃথিবীর-
আমি বিজয়ী পথিক!

নোনা জলের হাসি

নোনা জলের হাসি

জীবনের প্রহসনে নিঃস্ব স্বদ্বীপ!
দীপাবলীতে একাকী অন্ধকার!
টলমল পায়ে-
পালিয়ে যাচ্ছি জীবন থেকে|
পিপাসার্ত হৃদয় পান
করে চলেছে অশ্রুসাগর|
আখিঁ নেত্রে-
তোমার চঞ্চল দৃষ্টি আকুল|
অশ্রুবিন্দুকে তোমায়
ছুতেঁ দিবোনা বলেই
গিলে চলেছি নোনা জল|
হৃদয়ের তৃষ্ণা আজ
হবে পূর্ণ অশ্রুপানে|
আমার এ পরিপাটি কাজল
শুধু দৃশ্যমান থাকুক তোমার নয়নে|
প্রহসন আমি আজ যবনিকায়,
তোমার জন্যে|
তুমি চলে যাও জীবন,
নতুন আমন্ত্রণে|
এখানে মৃত্যুর ছায়া
আর ঘুটঘুটে আধাঁর,
পেরিয়ে যাও সঙ্গোপনে|
হেসেছি বিদায়ে,
কাদিঁনি কখনও,
চিরদিন শুধু এটুকু রেখো মনে ।

Sunday, April 6, 2014

কষ্ট আঙ্গিনায় প্রিয় স্মৃতি




কষ্ট আঙ্গিনায় প্রিয় স্মৃতি
কষ্ট আধিপত্যে-বিবর্ণ দিনমান সূর্য্য,
নির্ঘুম রাতেরা-প্রেতোল্লাসে নাচে একাকীত্বের ঘরে।
অবিনাশী স্মৃতি-অমরার স্বপ্নে বিঘোর,
উপেক্ষিত প্রেম মন্দিরের-
বিদ্রোহী আর্তনাদ চোরাবালি পাড়ে।

চোখের জলের স্থায়িত্বেত্ত হাসতে পারি আমি।
যখন মনে পড়ে-অদ্ভুত সুন্দর সেই বিকেলে,
তোমার অস্থির চোখে-
আমার নির্বাক চোখ ছুয়েঁছ তুমি।

অশ্রুসিক্ত নেত্রে আমিত্ব-
হেসে উঠে অতীত অধ্যায় পড়ে,
চোখের জলে হাস্যরত আমাকে নিয়ে-
বিজয়ী চিত্র আঁকো তুমি জীবনের ঘরে।

আপন আস্তিত্বে, কী অসাধারণ অভিনয়।
আমার সাথে কী জীবনের সাথে জানিনা।
তবু তোমার অসাধারণতায়-
হৃদয় আজো মুগ্ধ হয়।

ভালোবাসার কবরে প্রদীপ জ্বেলে-
আলোকিত করেছি শ্মশান!
আপন খুনে সিঁথি রাঙ্গিয়ে-
ঘুচেছি নিয়তির বদনাম!

নিষ্টুর! নির্দয়! কোনো উপমায়-
তিলক পরাতে পারিনা তোমায়।
হৃদপিন্ডে আঁকা যে প্রিয়-
হাসোজ্জ্বল মুখ, চিরচাওয়ায়।

ঘৃণার উপত্যকা থেকে,
ফিরে এসেছি বার বার।
সেখানে প্রিয় স্মৃতিদের-
সমাধিস্থ করতে পারিনা।
এ অপরাগতা আমার-
শুধুই বেচেঁ থাকার ছলনা।

এ জীবন শুধু কেনো?
পরজীবনেও ভালোবাসবো তোমায়।
আজ নতজানু হই তবু একটি চাওয়ায়।

মুসাফির বেশে, হৃদয়ের গলিতে- আর পা রেখোনা।
প্রিয় স্মৃতিদের কেড়ে নিতে- কৃষ্ণপক্ষে আলো জ্বেলোনা।

দমহীন প্রচ্ছদ




দমহীন প্রচ্ছদ
ঘৃণারা উল্লাসিত মশাল মিছিলে,
মুখ থুবড়ে পড়ে প্রিয় দরদ।
আঁধারের কুটির প্রহরী, সম্মোহিত নিশিডাকে।
নীল খামে হৃদয় যেনো দমহীন প্রচ্ছদ।

প্রিয় র্স্পশের রংধনু কল্পনা,
একেঁ চলেছে সযতনে কষ্ট আল্পনা।

বিবর্ন রংদানিতে স্বপ্নতুলি-
হেঁটে বেড়ায় সারাদিন,
দুঃখানলে প্রেম কুয়াশা প্রসূত-
শিশিরের অস্তিত্ব বিলীন।

স্বপ্ন-রচনা নিষিদ্ধ পথে একাকীত্বের চলাচল।
বুকের চরে কষ্ট আবাদ,
নিঃসঙ্গ জোছনার প্রেম চায় নীলাচল।

আকুল স্পন্দনের মাদকতায় প্রিয়ক্ষণ।
চৌকাঠ পেরোতে পারেনি,
সাধিতে সাত পাকের অগ্নিসাধন।

নিয়তির সিড়িতে স্বপ্নকবর রচিয়ে,
উপেক্ষিত প্রতিবিম্বে দাঁড়ায়।
ঝিঁঝিরা জানাযা পড়ে-
অনাকাঙ্খিত চন্দ্রগ্রহনে কষ্টের পাহাড়ায়।

অন্তহীন যাত্রায় প্রিয় সাথী শূন্যতার অহমিকা,
একাকীত্বের হাতে আত্মোহংকারী বিজয় পতাকা।

গোধুলী, বিবাগী সুর রচে জোছনার কথায়।
চন্দ্রিমা নেত্রের স্বপ্ন চুরির অপরাধে-
ফাঁসির আসামী তোমার কাঠগড়ায়।

অপয়া মায়া দৃষ্টিহীন ভালবাসার।
উপহারে জীবনের চোখে মৃত্যুর আঁধার।