Sunday, April 6, 2014

দমহীন প্রচ্ছদ




দমহীন প্রচ্ছদ
ঘৃণারা উল্লাসিত মশাল মিছিলে,
মুখ থুবড়ে পড়ে প্রিয় দরদ।
আঁধারের কুটির প্রহরী, সম্মোহিত নিশিডাকে।
নীল খামে হৃদয় যেনো দমহীন প্রচ্ছদ।

প্রিয় র্স্পশের রংধনু কল্পনা,
একেঁ চলেছে সযতনে কষ্ট আল্পনা।

বিবর্ন রংদানিতে স্বপ্নতুলি-
হেঁটে বেড়ায় সারাদিন,
দুঃখানলে প্রেম কুয়াশা প্রসূত-
শিশিরের অস্তিত্ব বিলীন।

স্বপ্ন-রচনা নিষিদ্ধ পথে একাকীত্বের চলাচল।
বুকের চরে কষ্ট আবাদ,
নিঃসঙ্গ জোছনার প্রেম চায় নীলাচল।

আকুল স্পন্দনের মাদকতায় প্রিয়ক্ষণ।
চৌকাঠ পেরোতে পারেনি,
সাধিতে সাত পাকের অগ্নিসাধন।

নিয়তির সিড়িতে স্বপ্নকবর রচিয়ে,
উপেক্ষিত প্রতিবিম্বে দাঁড়ায়।
ঝিঁঝিরা জানাযা পড়ে-
অনাকাঙ্খিত চন্দ্রগ্রহনে কষ্টের পাহাড়ায়।

অন্তহীন যাত্রায় প্রিয় সাথী শূন্যতার অহমিকা,
একাকীত্বের হাতে আত্মোহংকারী বিজয় পতাকা।

গোধুলী, বিবাগী সুর রচে জোছনার কথায়।
চন্দ্রিমা নেত্রের স্বপ্ন চুরির অপরাধে-
ফাঁসির আসামী তোমার কাঠগড়ায়।

অপয়া মায়া দৃষ্টিহীন ভালবাসার।
উপহারে জীবনের চোখে মৃত্যুর আঁধার।

Tuesday, February 11, 2014

অমরত্বে শহীদ



অমরত্বে শহীদ
রঞ্জিত রাজপথ ফেব্রুয়ারীর স্মৃতির কৌটায়,
ধুলিসাৎ করে শত্রু র্সৌয্য স্নিগ্ধ বাংলায়।
নিমীলিত আঁখিতে নয়, আমরা সোচ্চার আঘাতে।
র্বগীরা জেনেছে, প্রয়োজন কত কঠোর শান্ত স্নিগ্ধতাতে।
রক্তের পিচ্ছিল পথ বেয়ে স্বীকৃত বাংলায়,
বরকতেরা বেঁচে রবে অক্ষত বর্ণমালায়।
ভুলি নাই বরতক, সালাম, রফিক, জব্বার-
আত্মদানে দিয়ে গেছ বিজয়ানন্দ সম্ভার।
বঙ্গলিপির ভিক্ষুজনে সেধেছ যে র্নিদশনে,
বিশ্ব তারি গান গায় তোমার প্রাণের স্পন্দনে।
জ্ঞানী গুণীর লিখালিখির পরম স্নেহে,
তোমায় নিয়ে আজ ভাবের ফুলসোঁতা বহে।
র্নিভীক প্রেমের সুর-বাংলা তোমার হাসিতে,
হাসবে তুমি শহীদ স্মৃতির অমরত্বে।
শ্যামল স্নিগ্ধ সবুজ পথে, হাজার কথার গোলাপ ফুটে।
অযুত র্বণের র্মুছনায় শিশুর মুখে শব্দ উঠে।
যতোকাল মাঝি গাইবে মরমিয়া গান-
প্রতি অন্তরে শহীদ স্মৃতি থাকিবে অম্লান।
যতোকাল র্সূযোদয়, র্সূযাস্ত আর হৃদস্পন্দন থাকবে বাংলায়-
ততোকাল বাংলা বলবে ‘শহীদ সালাম তোমায়’।

Tuesday, February 4, 2014

চলো যাই



চলো যাই
হংসমিথুনেরা আজ ও মেতেছে জলকেলীতে,
বলেছিলে এক রোদেলা দুপুরে,
সারাদিন কাটাবে রাজহংসীদের সাথে।
চলো, আজ আবার হারাবো সেই প্রিয় দ্বিপ্রহরেতে।

বলেছিলে, ঐ রেল লাইনের পাশের খেজুর গাছটায়,
আলো আঁধারি প্রভাতে যাবো দু’জনায়।
যাবে? চলো আজ যাই।
রস চুরির অপরাধে হাসবোনা তোমার কানধরায়।

পদ্মেরা ফুটেছে দেখো কতো, দিঘীর মাঝখানটায়,
পদ্ম তুলতে আমায় নিয়ে চলো,
কথা দিলাম আজ ভয় পাবোনা ভেলায়।

নাগরদোলায় যাবে?
বলেছিলে সেদিন ভয় কিসে?
আমি তো আছি পাশে,
চলো আজ সারাদিন মেতে রবো নাগরদোলায়,
দু’জন পাশাপাশি বসে।

জানো? সেই গামারি গাছটায়-
এখন অনেক প্রজাপতি!
তুমি প্রজাপতির রং চুরি করে-
আমায় রাঙ্গিয়ে দেবেনা?
এবড়ো থেবড়ো রঙ্গে সাজিয়ে-
রাজকুমারী বলবেনা?

খেলাছলে বলেছিলে,
র্সূযাস্ত দেখবো একদিন, নিয়ে তোমায়।
চলো, আজ র্সূযাস্ত-
তোমায় দেখাবো পরম মায়ায়।

বলেছিলে পুতুলের বিয়েতে,
আমায় বেশ মানায় লাল চুড়ি আর ফিতাতে,
চলো, আজ আবার পুতুলের বিয়ে দেবো,
তোমার রাঙ্গা খুশিতে।

না হয় চলো মহুয়াবনে,
হারাবো দু’জন মাতাল ঘ্রাণে।

বলেছিলে, কোনো এক চাঁদনী রাতে,
আমায় দেখবে চাঁদের সাথে।
চলো, আজ র্পূণিমা তিথিতে,
বকুলের অলংকারে সাজবো-
আমি জোছনার সাথে।

না হয় চলো যাই আকাশ বিহারে,
প্রণয়ের শুভ্র সিড়ি বেয়ে যাবো ইন্দ্ররাজ দ্বারে,
চিরমায়ায় তোমায় বাঁধিবো দৃষ্টিপাড়ে।

Saturday, January 25, 2014

এখানে দাঁড়িয়ে

এখানে দাঁড়িয়ে
তুমি এসে হাত ধরতে চাইলে,
আমি নির্জীব, যেন ভয় পেয়েছি
তোমার পায়ে, পা মিলাতে বললে,
আমি ক্লান্ত, যেন হাঁটতে ভুলে গেছি
তুমি একরাশ স্বপ্ন দিলে,
আমি ছেড়া আঁচল গুটিয়ে নিলাম
সন্ত্রস্থ কম্পমান হাত,
ভরসায় বাড়িয়ে দিলাম
তুমি বললে, “ওই যে স্বর্ণ মন্দির,
ব্যস গন্তব্য এটুকুই
আমি জরাজীর্ণ কায়া নিয়ে,
আলুথালু ভ্রান্তপদে এগিয়ে
তুমি বললেআঁখি খোল,
আমি নিজের ছবি একেঁ দেব
আমি দৃষ্টিহীন চোখে, ভ্রুকুটি করে,
রাজদিব্য দর্শনে মুখ উচালাম
তবু কম্পিত হৃদয় ভয়ে কাতর,
শ্বেত হাত, যদি দেয় ঘৃণার আচড়
তুমি অপায়া খাব আঙ্গিনা পেরোতে বললে,
আমি দরজায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে,
যদি মরচিকায় নিশ্চিহৃ হয়ে যাই
স্বল্প ব্যবধান কালের
তুমি আপেক্ষায় কাতর,
আমি তবু স্বপ্ন দর্শনে
তোমার সঙ্গি হইনি
অশুচি নির্লিপ্ত দেহ নিয়ে,
এখনো এখানে ঠাঁই দঁড়িয়ে