Monday, June 16, 2014

লজ্জা

                  লজ্জা


তোমাতে আমার সকল সম্মান
          তোমাতেই  অবক্ষয়।
তোমারি সম্মানে  পৃথিবী মসনদে
          আমার মুকট জয়।

পুরুষ  তুমি! আমার সুখের,
স্বপ্নের স্বর্গীয়  পুরষ্কার তুমি। 
স্বামী  তুমি! জীবনের, ধর্মের -
          জয়ী  চারণভূমি।

তোমার অত্যাচারে তাই -
আজ আমি লজ্জিত।
সমাজের চোখ জুড়ে
আমারি অসহায়ত্ব।

কথা দিয়েছিলে,  সকল বিজয়ে
         প্রমাণ করবে পুরুষত্ব।
আমার চোখে দেখছে পৃথিবী
        তোমার কাপুরুষত্ব!

এ লজ্জা আমার।
এ লজ্জা আমার বোনের।
এ লজ্জা আমার ভাইয়ের।
আধারের সিঁড়িতে -
 মুখ থুবড়ে  পড়ে, 
    লজ্জিত রূপ সমাজের!

তোমায় বলবো না হায়েনা,
       বলবো না অমানুষ,
বলবো শুধু নির্বোধ!
নিজের সুখের স্বর্গে -
ইন্দ্রের গলা টিপে, 
করেছো জীবনের শ্বাসরোধ।

তোমার জন্য লজ্জিত
আমার দেশের আইন আজ।
কোন সংবিধানে মুছবে
তুুমি আইনের এই লাজ?

আমি এসেছিলাম নিয়ে পণ -
          তোমায় সুখী করার।
তুমি আঘাতে আঘাতে লিখেছ
          জীবন নষ্ট ধারার।

যখন তুমি আমায় ভালবাসো,
       তখন আমি শ্রেষ্ঠ।
যখন তুমি অত্যাচারী,
      তখনি আমি নিকৃষ্ট।। 

Friday, June 13, 2014

মহান ভালবাসা

                মহান ভালবাসা

তোকে ঝড়ের কবলে পড়তে দিবো না বলেই
          ভিজিয়েছি ছেড়া আঁচল।
মৃত্যুঘাত সয়ে সয়ে দেখবো তোর 
          হাসি ভরা প্রিয় আদল।

কলিজার ছাতায় দিলাম আশ্রয়,
          স্নেহার্দ্র  ভাতৃত্ব!
এক টুকরো স্নিগ্ধ হাসিতেই সর্বহারা হৃদয়
          হবে পরিতৃপ্ত।

নির্বোধ  বৃষ্টি !  ভিজিয়ে দিসনে আর।
ভিজাসনে মোর স্বরলিপি! কচি প্রাণ তার।

তোর ভাল থাকার সাদা কালো স্বপ্নে
          বাঁচবে এই নিঃস্ব জীবন।
তোর প্রাণ বাঁচাতে কবরের হাতে
          তুলে দিবো নিজ প্রাণ।

কোথা যে রাখি তোরে এই নির্মম বর্ষাতে!
কলিজার মোচড় অক্ষমতায়, চোখের জলেতে!

স্নেহডোর আজ পারেনা কেনো
          প্রকৃতির সাথে লড়তে?
মর্মস্পর্শী চিৎকার পৌঁছে দেয়নি
          সুখ পাখি, খোদার ঘরেতে?

সকলের  প্রিয় এই বৃষ্টি  রিমঝিম,
ময়ুর নাচে খুশিতে, কবি পায় কাব্যথিম।
আমাদের কথা ভাই কেউতো ভাবেনা।
আমাদের কান্নায় ভদ্র চোখে পলক নড়েনা।

মানুষ নামের মানুষগুলো হাইস এ বসে
          মমতার ছবি তোলে।
কঁচি মুখটির জীবন বাঁচাতে আসেনা কেউ
          মনুষত্বের ছাতা খুলে।

তবুও  আমি তো আছি ভাই!
বিপদে স্থান পবি ভাঙ্গা কলিজায়।
স্নেহী  ঋণ শোধ করবো মাতৃমমতায়!!



Sunday, June 1, 2014

অভিশপ্ত ৪জুন

                অভিশপ্ত ৪জুন
আজ সেই ভয়াবহ দিন আমার পঙ্গুত্বের।
আজ সেই কাল রাত আমার দুঃসহ কষ্টের।

আজ প্রভাতেও ছিল -
             আমার পৃথিবী  জুড়ে শ্যামল ছায়া, 
নিয়তির অকষ্মাৎ কালবৈশাখী
             কেড়ে নিল বাঁচার  সকল মায়া।

"তুমি কী আমার সেই মা? "
"মা কী সন্তানকে একা ফেলে যেতে পারে, মা? "

সব হারিয়েও ভাল ছিলেম মাগো
                 তুমি ছিলে বলে।
অসহ্য কষ্টই  কী ছিলাম মাগো -
                  চলে গেলে আমায় ফেলে? 

ভাষাহীনতায় ভাষার বেদন -
                  মাগো তুমি যদি জানতে!
কষ্ট -পাথরের চাপে
                   শ্বাসরুদ্ধতা তুুমি যদি দেখতে!

অবাধ্য অশ্রু মুছে দিচ্ছে
                  প্রিয় কলমের ভালবাসা,
কষ্টের শ্রাবণে জীবন ডায়রীর
                    শব্দেরা সব ঝাপসা।

কিছুই আজ লিখতে পারছিনা মা,
হার মেনেছে নিষ্ঠুর  বাস্তবের কাছে -
             আবেগের যতো কল্পনা।

একবার খোদার কাছে ছুটি নিয়ে দেখে যেও -
              কেমন আছি আমি?
দেখবে,  কতো বড় হয়েছে  মেয়ে তোমার -
               ছাড়িয়ে  সব পাগলামি!

সবাই বলে মাগো, তুমি নাকি 
               খোদার আপন হয়েছো।
পার্থিব সম্পর্ক  যতো -
                 সবি পর করেছো।

এ  কী হয় বল মা?"
নাড় ছেড়া ধন কখনো কী পর হয় মা?"

যদি মাগো চিৎকার করে কাঁদতে পারতাম!
যদি সব তছনছ করে দিতে পারতাম!

কিছুই  পারিনা মা। "
বিবেকের কঠিন  শৃঙ্খলে  -
                    বন্দী হয়েছি  আমি!
তুমিহীনা দেখবে কে বলো মা, 
                        আমার যতো ছেলেমী??