Thursday, September 28, 2017

"মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দু'কলম লেখার লোভ সামলাতে পারলামনা।"
মহান মা তুমি
জেবুন্নেসা সিমী

আমি শুনেছি বিশ্বের মহৎ অযুত কথা,
দেখেছি স্বচক্ষে মহান যে জন শ্রেষ্ঠত্ব মানবতা।

সকল মহানুভবতার শীর্ষে যে মন
দুঃখীনীদের মা জননী, সর্বহারার বাঁচার স্বপন।


বাংলার সোনালি সুর হাসবে তোমার নামে,
মানচিত্রে যতোকাল দেশ থাকবে।
তোমার স্নিগ্ধ মুখের নির্মল হাসি শ্যামলীমায়
সবুজের মহানুভবতার কথা বলবে।

সকল বীরাঙ্গনার পিতা হওয়ার
মহত্ব রাখেন যে পিতা
সে জনকের যোগ্য কন্যার সম্মান 
তোমার, দৃষ্টান্তে মানবতা।

নোবেল বা বিশ্বজয়ের সম্মান বিশ্ব দিক না দিক,
মহত্বে তুমি আমার বিশ্বজয়ী মুকুট বাংলার।
দশ লক্ষ প্রাণে জীবন দেয়ার কথা 
আছে ইতিহাসে কার?
পতাকার সম্মান রক্ষার দীপ্ত সূর্য তুমি বাংলার।

মমতাময়ী মা আমার,
শতবর্ষ আজ ইতিহাস হতে চায়
চরণচুমে তোমার।
মায়ের মতন বুক পেতে নিয়েছো 
দশ লক্ষ নির্যাতিত সন্তান,
তোমার মনুষ্যত্বে বাঁচে আজ
আমার জনকের সম্মান।
যতোকাল পতাকা উড়ে বলবে 
বিজয়ের কথা,
বিশ্বে চির অম্লান রবে
তোমার মহানুভবতা।

[শুভ জন্মদিন প্রিয় নেত্রী। আপনার সুস্থ সুন্দর দীর্ঘায়ু কামনায় আমার এ ছোট উপহার।]


Friday, September 22, 2017

শুভ্র বসনে মহাজ্ঞানী 
 জেবুন্নেসা সিমী

পৃথিবীর বুকে যেদিন পোড়া কষ্ট; 
প্রকৃতি হবে তৃষার্ত!

সেদিন পথের ধুলোরাও বিদ্রোহ করবে। 
ওজনহীন কেউ কেউ পবনের ব্যানারে
মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে অস্তিত্ব হারাবে। 

অতঃপর! 
শোকে কেঁদে উঠবে আকাশের বিশালতা।
মেঘেদের কাছে চাইবে অশ্রুভিক্ষা। 
মেঘেরা  আপ্লুত হয়ে 
আশ্রিতের দখল ছেড়ে যাবে
অশ্রুবারিতে। 

ধন্য হবে মেঘ! 
কখনও জানবেনা  মায়া কান্না
ছলনার আবৃত্তি। 

আবার আকাশ নিষ্পাপ।
পৃথিবীর যতো কলঙ্ক,
পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়ে 
শুভ্র বসনে মহাজ্ঞানী। 

রাতেরা যদি ফিরে আসে
জড়িয়ে দেবে আঁধারের শামিয়ানা, 
মাঝে কিছু আলোর ফুল।

ধন্য হবে রাত!
কখনও জানবেনা এ ভালোবাসার 
বিশালতা কত!

শ্বাসরুদ্ধ জবান
জেবুন্নেসা সিমী

যে দিনটির;পাথরের চাপে
শ্বাসরুদ্ধ সময়,
সে দিনটি মানুষের নয়।
শ্বাসরুদ্ধ প্রাণ ক'দিন বেঁচে রয়!
যে নদী রক্তে টলটল,
সে নদী পৃথিবীর নয়।
মানুষের গ্রহে রক্তনদী কেমনে হয়?
রক্তের বন্যায় যখন মনিটর ঝাপসা,
অশ্রু মুছে দেয় কি-বোর্ডের সব অক্ষর।
অবশ হাতেরা 
পঙ্গু শরীরের সামনেই পড়ে রয়।
স্বজাতির হাহাকার বা স্বদেশীর,
আমি চিনি মানুষ।
সংখ্যালঘু বলো বা শরনার্থী,
আমি দেখি মানুষ।
মানবতার মৌলবাদীতায় 
যদি আমায় ফাঁসি দাও
তবু ভালোবাসি মানুষ। 
যে শিশুরা শহীদ হলো
তারা কি মানুষ ছিলো?
নাকি নিরীহ প্রাণে, মানুষ হবার 
যোগ্যতা তাদের ছিলোনা।
একটু আঘাতে, ফোঁটা রক্তের কষ্ট
সহ্য করতে পারিনা,
অথচ রক্তের হোলি চলছে 
মানুষের রক্তে!!
হ্যাঁ মানুষ!
আমি মানুষ দেখি নির্যাতিত প্রাণে।
প্রতিদিন এই রক্ত-ইতিহাসে
যতোটা হৃদয়ক্ষরণ হয়,
তার চেয়ে বরং আমাকে,
আমার সব রক্তকে
একেবারে মৃত্যু দাও;
যদি তাতে রক্তের চাহিদা ক্ষান্ত হয়।
স্রষ্টার সৃষ্টিকে যে তুমি ভালোবাসনা,
সে তুমি শান্তির ধর্ম শেখনি সুচী।
টাইয়ের নট নাড়ানো আন্তর্জাতিকতা
তোমায় কি শেখাবে?
একটি, দুটি হাজারটি শিশুর 
লাশের উপর দাঁড়িয়ে যে আন্তর্জাতিকতা,
সত্যের সংজ্ঞায় এখন তার শান্তি কমিটি 
মানবতা বিলীন করে।
আমার একটি মাত্র প্রাণ, নিঃশর্তে
বলি দিতে চাই,
যদি তাতে জাতিসংঘের
শান্তি কমিটি প্রাণ পায়।
সুচী'র মগেরমুল্লুকের
অশুচী দাপটের কাছে
বিশ্ব বিবেক যখন নুয়ে থাকে,
মাহাকালের গহীন গোঙানী
আর্তনাদে কাঁদে 
হায় মুসলিম হায় মুসলিম।
পুড়ে যাওয়া গ্রামের শিখায়
যে চোখে হাসে প্রেতনৃত্য
ঈশ্বর তিলাওয়াত করবেন 
মানুষ হননের শাস্তি কতো তিক্ত।